চাকুরীর বাজার আজ অনেক হার্ড। চাই সেটা সরকারী হোক বা বেসরকারি। কিন্ত বর্তমান সময় টেকনলজিকালি অ্যাডভান্সড হবার সুবাদে কাজের অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি বের হচ্ছে অনলাইনে বিশাল ভার্চুয়াল জগতে। যার মধ্যে বর্তমান সময়ের সবচাইতে সুন্দর, আরামদায়ক, বেশি আয় এবং সন্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং। যেটা এক কথায় বলতে গেলে, ঘড়ে বসে অনলাইনে বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করা। আর এটা যেহেতু একটা আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেস, এজন্য এখানে কাজের রেট হয় ডলারে, ফলে আয়ের হার সাধারন চাকুরী থেকে অনেক বেশি। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের অনেক সুনাম আছে। আমাদের বরিশালেও ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং এর কাজ। গড়ে উঠেছে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং ট্রেনিং একাডেমী। ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং পেশা নিঃসন্দেহে আগামী ১-২ বছরের মদ্ধেই দেশের অন্যান্য যে কোন পেশার গড় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কাজেই আমাদের উচিত বরিশালের শিক্ষিত সব মানুষকে এই কাজের গুরুত্ব বুঝানো , বিদেশীদের সাথে কাজ করার সিস্টেম, প্রফেশনালিজম, কোয়ালিটি এগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেয়া। আর আমরা যদি এটা করতে সক্ষম হই, তাহলে অচিরেই বরিশাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর আমরা এক্ষেত্রে বরিশাল বাসির পাশে সহায়ক শক্তি হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত। ইতিমধ্যেই আমাদের ব্যাচের ছেলেরা অনলাইনে আয় করা শুরু করেছে এবং আমার জানামতে একমাত্র আমাদের ছেলেরাই বরিশালে এখন পর্যন্ত ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং এ আয় করা শুরু করেছে।
ফ্রিলান্সিং এর অনেক ভাল ভাল সাইড আছে। যার একটা হল যে, আপনি একটা চাকুরী করবেন, কিন্ত ২ টা একসাথে করতে পারবেন না। আর ফ্রিলান্সিং আউটসোরসিং এর মজা হল যে, আপনি যত খুশি কন্ট্রাক্ট করতে পারেন, যত খুশি বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে। কোন অসুবিধা নেই। কাজ এনে লোক রেখে করাতে পারেন। নিজের আত্মীয় স্বজন , বন্ধু বান্ধব দেরকে নিয়ে করতে পারেন। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রি লেভেলের কাজ, যে জন্য আজ বাংলাদেশ সরকার এটা বুঝতে পেরে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে থ্রি জি, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, থানা , গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট নিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের শিক্ষিত মানুষদের এটা নিজেদের আগে বুঝতে হবে এবং বাকীদেরকে বুঝাতে হবে যে, এটা আগামীদিনের ১ নম্বর প্রফেশন হতে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে। (কেউ আবার আমাকে বলবেন না যে, আমি কোন রাজনীতি বা কোন দল করি বা কোন দলের গুণগান করছি। এটা জাস্ট আমাদের বিজনেস এর কারনে বলা )
আর এক্ষেত্রে কোন বুড়া , কড়া, ছেলে, মেয়ে ভেদাভেদ নেই। যে কেউ অনলাইনে কাজ করতে পারে। সিম্পল। যে কোন বিষয়ে কাজ শিখেই খুব ইজি কাজ করা যায় । এজন্ন দরকার শুধু কিছু করার মত ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল। বাস, এটুকুই ।
দুদিন আগেও ফ্রিলান্সিং এর কথা ক্বচিৎ কদাচিত শোনা যেত। আর এখন প্রতিদিন ছেলে মেয়ে, বুড়া, কড়া , সবাই আসছে ফ্রিলান্সিং, আউট সরসিং, অনলাইনে ইনকাম করার সিস্টেম শিখতে। এটা ভাল। আশা কড়া যায় যে, গার্মেন্টস সেক্টর যেমন বাংলাদেশের চেহারা অনেকটা পরিবর্তন করতে পেরেছিল , আউট সরসিং খাত যে তাঁর চাইতে বহুগুণ ভাল ইনকাম সোর্স , সেটা তো সহজেই বুঝা যায়। আর আমাদের শিক্ষিত জনবলের অভাব নেই। আর মেধাবী তো অনেক আছে। কাজেই আমাদের আর এক মুহূর্ত ও দেরি করা উচিত না। এখনি শুরু করা উচিত। আর কতদিন মানুষের হুকুমের তাবেদারি করা ? নিজের যোগ্যতা এবং চয়েস অনুযায়ী ভাবে কাজ করার নাম ফ্রিলান্সিং। আর পেমেন্ট যখন ডলারে, তখন তো বোঝাই যায় যে, ইনকাম কত ভাল হবে। কাজেই আর দেরি না। আজই শুরু হোক নতুনের পথচলা।